ক্রিকেট নিয়ে বিরোধে মারধর ও কক্ষ ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ক্রিকেট নিয়ে বিরোধে মারধর ও কক্ষ ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ করেছেন ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। আবার তাঁদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষ ভাঙচুরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন ৪৫তম ব্যাচের দুজন ছাত্র।

শনিবার সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর মারধর করে হলছাড়া করার মৌখিক অভিযোগ করেছেন ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৪৭তম ব্যাচের চারজনের বিরুদ্ধে কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন ৪৫তম ব্যাচের দুজন শিক্ষার্থী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে হল সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ সোহেল আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই পক্ষের অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লিখিত অভিযোগ, হল সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) শহীদ রফিক-জব্বার হলের মাঠে ৪৬তম ব্যাচের আয়োজনে ‘ইয়াকুব-মিশু স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। গত বুধবার এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে অংশ নেয় হলের ৪৭তম ব্যাচ ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ। খেলায় আউট হওয়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। এ ঘটনার সুরাহা করতে হলের গেস্টরুমে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আয়োজক কমিটি (৪৬তম ব্যাচ)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গেস্টরুম থেকে উত্তেজিত অবস্থায় ৪৭তম ব্যাচের পাঁচজন শিক্ষার্থী বের হন। এর পরপরই অন্য শিক্ষার্থীরাও গেস্টরুম থেকে বের হয়ে যান। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হলের করিডরে রাখা ফুলের টব এবং ২৩৭ ও ২৩৮ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করেন। এ সময় কক্ষের জানালার ভাঙা কাচের আঘাতে নগর ও অঞ্চল-পরিকল্পনা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান আল মাসুদ আহত হন। তাঁকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

৪৭তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, গেস্টরুমে ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড় ও লাথি দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে গেস্টরুম থেকে বের হয়ে ফুলের টব ভেঙে ফেললে ৪৫তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী রড, রামদা নিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেন। এরপর তাঁরা ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দুটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।