জীবন অনেকগুলি অসঙ্গতি নিয়ে গঠিত এবং, যদি অকেজো পাণ্ডিত্য এবং শান্ত বিচক্ষণতায় পরিপূর্ণ মানুষ থাকে, তবে এর অর্থ এই নয় যে আমাদের একটি প্রচলিত এবং অচল নৈতিক যুক্তির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সমস্ত ফাটল সহ্য করা কঠিন, বিশেষত সেইগুলি যেখানে আমরা নিজেদেরকে একটি নির্দিষ্ট জীবনধারা থেকে এবং আংশিকভাবে নিজেদের থেকে আলাদা করি। আত্মহত্যা করে যারা এটা করে। কিছু মানুষ দেশ পরিবর্তন করে। তারা আছে যারা মানুষকে ছেড়ে চলে যায়। এই সব কিছুর মধ্যে স্বাধীনতা সম্প্রসারণের একটি মায়া থাকতে পারে। নিটশে আসীন জীবনধারাকে “পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে প্রকৃত পাপ” বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রেখটের কাছে একটির বেশি স্যুটকেস নেই বলে বলা হয়েছিল, যাতে সর্বদা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। তপস্বীর প্রতি একটি নির্দিষ্ট প্রবণতা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণকারীদের প্রায় সবকিছু ছেড়ে দিতে পরিচালিত করে। আমি যদি একটি বাড়ি থেকে মুক্ত হতে বাধ্য হই তবে আমি কয়টি বই ধরে রাখব? এবং আপনি তাদের প্রয়োজন হবে? এটি একটি গৃহহীন ব্যক্তির মত চিন্তা করা সম্ভব, একটি lustral স্নানের চিহ্ন অধীনে আবার শুরু?
যখন আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করি, আমি তাদের কথা ভাবি যারা চলে যায়, যারা একটি “জীবন” রেখে যায়। তারা কী খুঁজে পাওয়ার আশা করে, যা জীবনযাপনের ছিনতাইয়ের উপায় থেকে আলাদা নয়? কারণ, অন্যথায়, তারা বন্দিত্বের দিকে অসংলগ্নভাবে হাঁটবে।
আজকের সমাজ যারা চলে যায় তাদের নিন্দা করে। যখন, একটি বিবাহে, স্বামী/স্ত্রীর মধ্যে একজন দাম্পত্য গৃহ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাকে অপরিবর্তনীয়ভাবে নিন্দা করা হয়: কেবল পরিত্যক্ত ব্যক্তিই তাকে নিন্দা করে না, কেবল তার পরিবারের সদস্যদের, তার সন্তানদের, তার নিজের ভাইদের বা তার শ্বশুরকেও নিন্দা করে না। সমাজ ব্যবস্থা, সম্প্রদায়ই এর নিন্দা করে। তিনি এখনও সীমা অতিক্রম করেননি, তার বিবেক ইতিমধ্যে তাকে আংশিকভাবে নিন্দা করেছে; একটি দিন এখনও পেরিয়ে যায়নি এবং তার উপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যে একটি পুঁজিবাদী সমাজ, ঐতিহ্যবাদী মতাদর্শ এবং ধর্মীয় নৈরাজ্যবাদে আসক্ত যেখানে দখল এবং সম্পত্তি সর্বোচ্চ মূল্যবোধ, মূর্ত ও প্রতিনিধিত্ব করে।
যে ব্যক্তি ঘর থেকে বের হয় তার নিন্দা (সাধারণত একজন পুরুষ, তবে কিছু নারীর ক্ষেত্রে অশান্তি ও অপ্রতিরোধ্য রূপ ধারণ করে) কোনো বিশেষ মানসিক পরিকল্পনার ফলে সৃষ্ট কোনো বিচ্ছিন্ন কাজ নয় – এটির সর্বদাই ওজন থাকে। এর মধ্যে সম্প্রদায়। বিশ্বাসঘাতকতা যারা নিন্দা করে তাদের বৈধতার নিশ্চয়তা দেয়; যাইহোক, যদি না থাকে বা না থাকে এমন একটি ক্ষেত্রে যা প্রস্থান পত্নী অংশীদারদের পরিবর্তন করলে, নিন্দা শক্তি হারায় কিন্তু সন্দেহ বা ঐতিহ্যের আহ্বানের মাধ্যমে নিজেকে সমর্থন করতে চায়। নিন্দা সর্বদাই সম্মিলিত। যারা থাকেন তাদের জন্য, প্রকৃতপক্ষে, বহুবচন সান্ত্বনার একটি শব্দ এবং অপরের অকৃতজ্ঞতা সম্পর্কে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি কান্না।
অন্য কথায়, ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে না, তবে এমন একটি ব্যবস্থার সাথে যা মানুষকে অচল করে দেয় এবং সামাজিক সুখের মূল্যে উদাসীনতার সাথে তাদের ব্যক্তিগত অসুখীতে আটকে রাখে। এটি ফ্রেডেরিক গ্রোস যিনি “দেয়ালের প্রতারণামূলক নিরাপত্তা” সম্পর্কে কথা বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, স্কুলগুলি এমন জায়গা যার দেয়ালগুলি শক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারপর, এই অনুমিত দৃঢ়তা, ভুল শুরু.
এমন কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে ভালবাসা কেবল ত্যাগ এবং আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই সম্ভব। তারা সেই বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত। বিশেষ করে সবচেয়ে শিক্ষিত (যদিও শিক্ষা এই এলাকায় স্পষ্টতার গ্যারান্টি নয়)। এবং তারা তা উপেক্ষা করার ভান করে। “আমার বাড়িতে আমার প্রচুর সঙ্গ আছে, বিশেষ করে সকালে যখন কেউ আমার কাছে আসে না,” থোরো লিখেছেন। স্বাধীনতা একটি অবিরাম সংগ্রাম।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি যে পরিবারের উদ্দেশ্য কী: যারা এটি তৈরি করে তাদের রক্ষা করা বা এটি যে ধারণা এবং আদর্শকে অন্তর্ভুক্ত করে তা রক্ষা করা। এটাই সামাজিক পুলিশিং। খ্রীষ্ট, কেউ যা ভাবতে পারে তার বিপরীতে, তিনি কখনই পারমাণবিক পরিবারের উত্সাহী সমর্থক ছিলেন না, তাঁর চিন্তাভাবনায় একটি সীমাবদ্ধতা হিসাবে দেখা যায়। এমন সময়ে যখন পরিবারগুলি সব ধরনের রূপ নিয়েছে, এই থিমগুলি স্কুলে বিবেচনা করা উচিত, এমন ছাত্রদের সাথে যাদের জন্য বিচ্ছিন্নতা, অভিযোজন, পুনর্ভারসাম্য এবং অসহায়ত্ব নতুন কিছু নয়।
