ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় মিত্ররা সোমবার থেকে 30 দিনের রাশিয়ান যুদ্ধের সন্ধান করে

কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে “উল্লেখযোগ্য বিমান আক্রমণ” পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে এক পর্যায়ে ইউক্রেনকে আঘাত করতে পারে।

ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিচ মের্জ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এবং পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক জেলেনস্কির সাথে রাজধানীতে এর আগে আলোচনা করেছিলেন।

পাঁচ নেতা পরে ট্রাম্পের সাথে একটি ফোন কল করেছিলেন, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ড্রি সিবিহা এক্সে বলেছেন।

“ইউক্রেন এবং সমস্ত মিত্র সোমবার ইতিমধ্যে শুরু হওয়া কমপক্ষে 30 দিনের জন্য জমি, বায়ু এবং সমুদ্রের উপর সম্পূর্ণ নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি জন্য প্রস্তুত,” তিনি যোগ করেছেন।

‘সরাসরি আলোচনা’

কিয়েভ যাওয়ার পথে ম্যাক্রন বলেছিলেন যে, 30 দিনের যুদ্ধবিরতি একবারে থাকার পরে, “ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা হতে পারে।”

মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা একে অপরের সাথে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত, তবে ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপতি ভলোডিমায়ার জেলেনস্কি বলেছেন যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে এটি কেবল সম্ভব হবে।

চারটি ইউরোপীয় জাতির নেতারা প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে একটি যৌথ সফর করেছেন।

পরে তাদের জেলেনস্কিকে আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছিল এবং মধ্য কিয়েভের পতিত সৈন্যদের একটি স্মৃতিসৌধে লণ্ঠন স্থাপনে তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিলেন।

এই সপ্তাহে কেবল দায়িত্ব গ্রহণকারী মেরজের পক্ষে এটি চ্যান্সেলর হিসাবে ইউক্রেনের প্রথম সফর ছিল।

২০২২ সালের জুন থেকে ম্যাক্রন কিয়েভে ছিলেন না, যখন তিনি তৎকালীন ইতালিয়ান এবং জার্মান নেতাদের সাথে গিয়েছিলেন।

‘স্থায়ী শান্তি’

নেতারা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তারা যদি যুদ্ধবিরতি গ্রহণ না করে তবে তারা রাশিয়ার উপর চাপ বাড়িয়ে দেবে।

“আমরা পরিষ্কার যে রক্তপাত অবশ্যই শেষ করতে হবে। রাশিয়ার অবশ্যই তার অবৈধ আক্রমণ বন্ধ করতে হবে,” এতে বলা হয়েছে।

“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আমরা রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি যে ন্যায়বিচার ও স্থায়ী শান্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য জায়গা তৈরি করতে একটি পূর্ণ এবং নিঃশর্ত 30 দিনের যুদ্ধবিরতি সম্মত হওয়ার জন্য।”

তারা সতর্ক করেছিল: “আমরা ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন বাড়িয়ে তুলতে থাকব। রাশিয়া যতক্ষণ না স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্মতি না দেয়, ততক্ষণ আমরা রাশিয়ার যুদ্ধের মেশিনে চাপ বাড়িয়ে তুলব।”

নেতারা আরও বলেছিলেন যে তারা যুদ্ধের পরে ইউক্রেনকে সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারে এমন একটি ইউরোপীয় বাহিনী তৈরির বিষয়ে আলোচনা করবে।

রাশিয়া বলেছে যে লড়াই শেষ হওয়ার পরে ইউক্রেনের কোনও পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি সহ্য করবে না এবং এই প্রস্তাবটি মস্কো এবং ন্যাটোর মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে সতর্ক করেছে।

‘ইউক্রেনের জন্য সুবিধা’

ইউরোপীয় unity ক্যের প্রতীকী শোটি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জয়ের ৮০ বছর পরে চিহ্নিত মস্কোর কুচকাওয়াজে একটি অবজ্ঞাপূর্ণ সুরে আঘাত করার একদিন পর এসেছিল।

শনিবার ইউএস নিউজ চ্যানেল এবিসি -র একটি সাক্ষাত্কারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতি রাজি হওয়ার আগে ইউক্রেনের মিত্রদের থেকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।

পেসকভ বলেছিলেন যে, “রাশিয়ান সেনারা এগিয়ে চলেছে … বেশ আত্মবিশ্বাসী উপায়ে” এমন সময়ে “ইউক্রেনের পক্ষে একটি সুবিধা” হবে, পেসকভ আরও বলেছেন, ইউক্রেন “তাত্ক্ষণিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।”

পুতিন বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত একতরফা তিন দিনের যুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন। তবে পূর্বে একটি ইউক্রেনীয় সেনা ব্রিগেড পরিচালিত এএফপিকে আগে বলেছিল যে লড়াইয়ের তীব্রতা “বেশ একই রকম” রয়ে গেছে।

ইউরোপ এবং ইউক্রেন যুক্তি দেয় যে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে আরও চাপের প্রয়োজন।

শুক্রবার ফ্রান্সে টাস্কের সাথে দেখা করার পরে, ম্যাক্রন 30 দিনের যুদ্ধের জন্য মার্কিন-ইউরোপের পরিকল্পনার দ্রুত খসড়া তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন যা “যদি একপাশে” এটি বিশ্বাসঘাতকতা করে “তবে” বিশাল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি “দ্বারা সমর্থিত হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছিলেন যে “প্রাক-শর্ত ছাড়াই” যুদ্ধবিরতি দরকার ছিল এবং কেবল তখনই আলোচনা হতে পারে।