ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি উদ্বিগ্ন যে গেমটি জুয়া খেলার সাথে যুক্ত হতে পারে, যা আফগানিস্তানের নৈতিকতা আইনের অধীনে নিষিদ্ধ
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশজুড়ে দাবা খেলা নিষিদ্ধ করেছে, যুক্তি দিয়ে যে এটি ইসলামী শরিয়া আইনের সাথে বেমানান। রবিবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
“দাবা খেলাধুলা সম্পর্কে ধর্মীয় বিবেচনা রয়েছে,” তালেবান সরকারের ক্রীড়া অধিদপ্তরের মুখপাত্র আত্তাল মাশওয়ানি এএফপিকে বলেছেন, খেলাটি রয়েছে “জুয়ার একটি মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত,” যা ইসলামপন্থী গোষ্ঠী দ্বারা আরোপিত নৈতিকতা আইনের অধীনে নিষিদ্ধ ছিল।
খেলা নিষিদ্ধ থাকবে “যতক্ষণ না এই বিবেচনাগুলি সমাধান করা হয়,” মুখপাত্র জানিয়েছেন। মাশওয়ানির মতে, জাতীয় দাবা ফেডারেশন যাইহোক প্রায় দুই বছর ধরে কোনও অনুষ্ঠান করেনি।
তালেবানরা ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে, মধ্য এশীয় দেশে তাদের দুই দশকের উপস্থিতির পরে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের মূলধন করে। ক্ষমতা গ্রহণের পরে, এটি বেশ কয়েকটি ক্রীড়া শাখাকে সীমাবদ্ধ করে। গত বছর, এটি মিশ্র মার্শাল আর্টস (এমএমএ) এবং অন্যান্য ফ্রি ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ নিষিদ্ধ করেছিল, তাদেরও ঘোষণা করে “হিংস্র” এবং “শরিয়া সম্মানের সাথে সমস্যাযুক্ত।”
তালেবানরা যদিও সমস্ত ক্রীড়া নেতিবাচকভাবে দেখে না। জানুয়ারিতে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলাভি আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে একটি তালেবান প্রতিনিধি দল দুবাইতে আলোচনার সময় ভারতের সাথে ক্রীড়া সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। নয়াদিল্লির মতে, উভয় দেশেই খুব জনপ্রিয় ক্রিকেট।
ফেব্রুয়ারিতে, ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে যে আফগানিস্তানের জনপ্রিয় স্থানীয় স্থানীয় বুজকাশি ছিল “সমৃদ্ধ” নিষেধাজ্ঞার প্রাথমিক ভয় থাকা সত্ত্বেও তালেবান শাসনের অধীনে। ১৯৯০ এর দশকে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর ক্ষমতায় প্রথম দিকের সময়কালে একটি ছাগল বা বাছুরের মৃতদেহকে একটি গোলের দিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করা ঘোড়া-মাউন্টেড খেলোয়াড়দের জড়িত অশ্বারোহী ক্রীড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এখন, গেমটি নিয়মিতভাবে তালেবান সদস্য সহ হাজারে শ্রোতাদের আঁকায়।
আপনি এই গল্পটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করতে পারেন:
