শুক্রবার কুয়ালালামপুরের জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে দুই পক্ষের সাথে জড়িত থাকার পরে তারা পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফ্রান্সকে পরাজিত করার কারণে পাকিস্তান এফআইএইচ নেশনস কাপে অসামান্য পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিল।
পাকিস্তানের গোলরক্ষক মুনিবর উর-এহমান তিনটি ফ্রান্সকে অবরুদ্ধ করেছিলেন, এবং রানা ওয়াহিদ আশরাফ, হান্নান শহীদ এবং আফরাজ পাকিস্তানের পক্ষে একটি উচ্চ-পুরষ্কারের জয় অর্জনের জন্য আঘাত করেছিলেন।
শনিবার শীর্ষ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড বা কোরিয়ার মুখোমুখি হবে সবুজ শার্টগুলি।
পুরো সময়ে স্কোরলাইনটি ৩-৩ ব্যবধানে বেঁধে দেওয়া হওয়ায় চারটি চতুর্থাংশকে মোহিত করার পরে দুটি দল অবিচ্ছেদ্য ছিল।
প্রথম কোয়ার্টারে দু’পক্ষ একে অপরকে ওপেনারকে স্কোর করতে নিষেধাজ্ঞার সাথে সাথে উচ্চ-দাবির সংঘর্ষটি একটি নার্ভির সূচনায় নেমেছিল। পাকিস্তান একটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল, ফ্রান্সের চারটি ছিল।
ব্লুজগুলি শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় কোয়ার্টারে জাভিয়ের এসমানজাউডের হয়ে শেকলগুলি ভেঙে দেয়, যিনি 25 তম মিনিটে সংবেদনশীল মাঠের গোলটি অর্জন করতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা লঙ্ঘন করেছিলেন।
ফ্রান্স তাদের লিড দ্বিগুণ করে জয়ের চার্লেটের মাধ্যমে তৃতীয় কোয়ার্টারে মাত্র চার মিনিট।
এরপরে পাকিস্তান পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল জাল করে একটি চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন মঞ্চস্থ করে চূড়ান্ত কোয়ার্টারে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
পেনাল্টিমেট কোয়ার্টারের সপ্তম মিনিটে রানা ওয়াহিদ আশরাফের যথাযথ সহায়তার পরে আফরাজ পাকিস্তানের প্রথম গোলটি জাল করেছিলেন।
গ্রিন শার্টগুলি তখন একটি বড় ভীতি থেকে বেঁচে গিয়েছিল যখন রেফারি ফ্রান্সের পেনাল্টি কর্নারকে ভের পর্যালোচনার পরে বাতিল করে দেয়।
কয়েক সেকেন্ড পরে, পাকিস্তানকে একটি পেনাল্টি কর্নার দেওয়া হয়েছিল, একজন ফরাসি ডিফেন্ডারের কাছ থেকে একটি ফাউলের সৌজন্যে।
পেনাল্টি কর্নারটি সফলভাবে সুফিয়ান খান দ্বারা রূপান্তরিত হয়েছিল, উভয় পক্ষের স্তরটি 2-2 এ আঁকেন।
গতিবেগের সাথে জ্বালানীযুক্ত সবুজ শার্টগুলি মুহাম্মদ হাম্মাদুডিনের মাধ্যমে নেতৃত্বটি সুরক্ষিত করেছিল, যা পেনাল্টিমেট কোয়ার্টারের উপসংহার পর্যন্ত অক্ষত ছিল।
এরপরে সবুজ শার্টগুলি ফ্রান্সকে একে অপরকে স্কোর করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিল যতক্ষণ না তাদের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে মাত্র তিন মিনিটের অ্যাকশন বামে একটি ফাউল ব্লুজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিমানা কর্নার দেয়, যা চার্লেট আদেশের সাথে পাকিস্তানের নেতৃত্বকে নিরপেক্ষ করতে রূপান্তরিত করে।
পেনাল্টি কর্নার পেয়ে 59 তম মিনিটে টাইব্রেকারকে স্কোর করার জন্য পাকিস্তানের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ছিল, যা এই প্রক্রিয়াতে ফ্রান্সের একজন ডিফেন্ডারকে আঘাত করার সময় সুফিয়ান খান পুড়ে গিয়েছিলেন।
ভাতা থেকে বঞ্চিত পাক খেলোয়াড় হিসাবে বিলাপযোগ্য
পাকিস্তান হকি দলের অধিনায়ক আম্মাদ বাট আর্থিক সহায়তার অভাবের কারণে প্রকাশ্যে তার হতাশাকে প্রকাশ করেছেন, প্রকাশ করেছেন যে এফআইএইচ নেশনস কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানো সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা এখনও তাদের প্রতিদিনের ভাতা গ্রহণ করতে পারেনি।
তার সতীর্থদের পক্ষে বক্তব্য রেখে আম্মাদ একটি আন্তরিক উদ্বেগ উত্থাপন করেছিলেন যা পাকিস্তানের জাতীয় খেলাধুলার দীর্ঘকালীন সংগ্রামকে আয়না দেয়।
“এমন কেউ আছেন যে সত্যিকার অর্থে পাকিস্তান হকির সংগ্রাম বুঝতে পারে?” আম্মাদ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন, দেশের ক্রিকেট আবেশ এবং হকের ক্রমহ্রাসমান ভাগ্যগুলির মধ্যে একটি সম্পূর্ণ তুলনা আঁকেন।
“আমাদের রাজনীতিবিদরা কি জাতীয় খেলাধুলার বিষয়ে যত্নশীল? মন্ত্রীরা কি এই দেশে অলিম্পিক স্বর্ণ নিয়ে এসেছিলেন এমন খেলায় আগ্রহী? ব্যবসায়ীরা ক্রিকেট লিগগুলিতে কোটি টাকা ব্যয় করে, কিন্তু যখন হকি আসে তখন কোনও বাজেট নেই,” তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
