‘রিভার প্লেট খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি মাইলফলক ছিল’, আইনবিদ বলেছেন

একটি বল বয় এবং দলের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের পরে চার রিভার প্লেট খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গ্রেমিও বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি পার্থক্য প্রতিনিধিত্ব বর্ণবাদ আইনজীবীর দৃষ্টিতে লিভিয়া সান্ট’আন্নাদেশের বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠ।

পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস দা বাহিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বর্তমান আইনের সাথে সম্পূর্ণ সম্মতিতে, যা সবসময় ক্রীড়া সংস্থা, বিচার ব্যবস্থা এবং সমাজের নিন্দার কারণে বর্ণবাদের পরিস্থিতিতে ঘটে না।” সাথে একচেটিয়া সাক্ষাৎকার এস্তাদাও.

20 তারিখে সাও পাওলোর ক্যানিন্দেতে ব্রাসিল লেডিস কাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচে বর্ণবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। আর্জেন্টিনা দলের একজন খেলোয়াড় ক্যান্ডেলা দিয়াজ বল বয়কে একটি বানরের অনুকরণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন, যাকে গ্রেমিও খেলোয়াড়রা রক্ষা করেছিলেন। রেফারি আর্জেন্টিনা দল থেকে ছয়জন ক্রীড়াবিদকে বহিষ্কার করে খেলা শেষ করতে বাধ্য করেন।

বর্ণবাদী অঙ্গভঙ্গির পর রিভার প্লেট খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে আপনি কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

1988 সালের ফেডারেল সংবিধান, গণপরিষদে কালো আন্দোলনের মৌলিক অংশগ্রহণের ফলস্বরূপ, অন্যান্য প্রাসঙ্গিক মূল্যবোধ এবং ব্যবস্থাগুলির মধ্যে, বর্ণবাদের প্রত্যাখ্যানকে একটি নীতি হিসাবে গ্রহণ করে, এর অনুশীলনটিকে একটি অবর্ণনীয় এবং জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। . তারপর থেকে, ধীর গতিতে হলেও ব্রাজিলে বর্ণবাদ বিরোধী আইন বিকশিত হচ্ছে।

রিভার প্লেট খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে, এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বর্তমান আইনের সম্পূর্ণ সম্মতিতে, যা সবসময় বর্ণবাদের পরিস্থিতিতে ঘটে না, ক্রীড়া সংস্থাগুলি, বিচার ব্যবস্থা এবং সমাজেরই নিন্দার কারণে।

বর্ণবাদ একটি গুরুতর অপরাধ, তাত্পর্যপূর্ণ সাংবিধানিক নিন্দনীয়তা এবং তাই, বর্ণবাদী কাজগুলিকে তাদের প্রাপ্য গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে, এই খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, শুধুমাত্র ফুটবলে নয়, সমগ্র ক্রীড়া জগতে। তাই আইন ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করে বর্ণবাদী আচরণ করা হবে না- এমন বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তারা অস্থায়ী স্বাধীনতা পাওয়ার পর কি হবে?

সাও পাওলো আদালত তাদের কার্যকলাপকে ন্যায্যতার জন্য মাসিক আদালতে হাজির হওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ভবিষ্যতের ক্ষতিপূরণের গ্যারান্টি হিসাবে R$25,000 অর্থ প্রদানের মতো শর্তে অস্থায়ী স্বাধীনতা প্রদান করেছে। পরবর্তী ধাপ হল পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের দ্বারা বিচার বিভাগে অভিযোগ দায়ের করার জন্য পুলিশ পদ্ধতির উপসংহার।

অতএব, খেলোয়াড়দের অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়া চালানোর জন্য একটি ফৌজদারি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, যেখানে প্রমাণগুলি বিশ্লেষণ করা হবে এবং অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হবে। খেলোয়াড়দের 2 থেকে 5 বছরের সাজা এবং জরিমানা হতে পারে, জরিমানা অর্ধেক বৃদ্ধি করা হয়েছে, কারণ অপরাধটি দুই বা ততোধিক লোকের সাথে সংঘটিত হয়েছিল, আইন নং 7,716/89 অনুযায়ী, যা অপরাধগুলিকে সংজ্ঞায়িত করে জাতি বা বর্ণের কুসংস্কারের উপর ভিত্তি করে – অনুচ্ছেদ 2-A এবং এর একমাত্র অনুচ্ছেদে।

একটি বর্ণবাদী অপরাধ এবং শপথের মধ্যে পার্থক্য কী, ফুটবলে একটি সাধারণ কাজ?

এটি একটি খুব প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন. গালি দেওয়া এবং টিজ করা ফুটবলের শব্দভান্ডারে স্বাভাবিক করা হয় এবং সাধারণত খেলাধুলার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাথে সম্পর্কিত। যাইহোক, অপমানের উপর নির্ভর করে, এটি সম্মানের বিরুদ্ধে অপরাধ গঠন করা সম্ভব। বর্ণবাদী অপরাধ, বিশেষ করে, নিছক উস্কানির সাথে তুলনা করা যায় না, কারণ এটি কুসংস্কার এবং জাতিগত বিদ্বেষের প্রকাশ যা তাদের জাতি/বর্ণের ভিত্তিতে মানুষের মর্যাদাকে আক্রমণ করে, কলঙ্ক স্থায়ী করে এবং বৈষম্যমূলক আচরণকে উৎসাহিত করে।

ব্রাজিলে আরও কার্যকরভাবে ফুটবলে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করা যায়?

ফুটবলে বর্ণবাদ মোকাবেলায় বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। প্রথমত, সংজ্ঞায়িত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা সহ বর্ণবাদ প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করার জন্য ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলি নীতিগুলি বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।

এই মত?

অন্য কথায়, শুধুমাত্র ক্রীড়াবিদ এবং অনুরাগীদের জন্যই নয়, বরং ক্লাবগুলির জন্যও, যেমন অনুরাগী ছাড়া খেলা, পয়েন্ট হারানো, মাঠের নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো আরও সুস্পষ্ট এবং উদ্যমী নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য খেলাধুলার নিয়মগুলির পরিবর্তন সম্পর্কে চিন্তা করা প্রয়োজন। ক্লাবের স্বয়ংক্রিয় অবনমন।

এই সব ফৌজদারি দায়বদ্ধতা ছাড়াই. অনুরাগীদের ক্ষেত্রে যারা বর্ণবাদের কাজ করে, স্টেডিয়ামে উপস্থিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। এই পরিমাপটি সম্প্রতি ব্রাজিলের আইনে গৃহীত হয়েছে যা এই ক্ষেত্রে, ক্রীড়া স্থান পরিদর্শন করার জন্য তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার বিধান করে।

কীভাবে বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা যায়?

শিক্ষা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্ণবাদ সচেতনতামূলক কর্মসূচী অবশ্যই যুবকদের বিভাগে এবং ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক এবং ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণে একত্রিত করতে হবে।

আরেকটি মৌলিক পরিমাপ হল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্যের প্রচার, শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের মধ্যেই নয়, সর্বোপরি রেফারি, টেকনিক্যাল কমিটি এবং ক্লাব ও ফেডারেশনে নেতৃত্বের অবস্থান, নিশ্চিত করা যে কৃষ্ণাঙ্গদের সকল ক্ষেত্রে কণ্ঠস্বর এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে।

অবশেষে, এটা অত্যাবশ্যক যে সুশীল সমাজ এবং অনুরাগীদের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচারাভিযানে একত্রিত হওয়া, সমর্থন এবং সচেতনতার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা যা মাঠে এবং বাইরে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং সম্মানজনক পরিবেশকে উত্সাহিত করে।

ফুটবল, একটি জাতীয় আবেগ, মানসিকতা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। তাই, ফুটবলে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুধুমাত্র ক্লাবের জন্য নয়, সমগ্র সমাজের জন্য অগ্রাধিকার হতে হবে।