নতুন জরিপ অনুসারে, আমেরিকান জনগণ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি গভীর সহানুভূতি খুঁজে পেয়েছে।
ইসনার মতে, এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের সাথে, ফিলিস্তিনি ইস্যু এবং দেশটির পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আমেরিকান জনগণের মনোভাবের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যা অধ্যয়নগুলি দেখায় যে পরিচয়, জাতিগত কারণগুলি। , রাজনৈতিক প্রবণতা, শিক্ষার স্তর এবং তথ্যের প্রবেশাধিকার এতে নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে।
এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক সংঘাতে দেশটির ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন অনেক লোককে করেছে।
ইহুদিবাদী শাসনের প্রতি আমেরিকান জনগণের সমর্থন হ্রাস
1403 সালের মে মাসে হামাস এবং ইহুদিবাদী শাসনের মধ্যে সংঘর্ষ সম্পর্কে আমেরিকান নাগরিকদের “হ্যারিস পল” জরিপের ফলাফল দেখায় যে উত্তরদাতাদের 80% তারা ইহুদিবাদী শাসনকে সমর্থন করে এবং 20% হামাসকে সমর্থন করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দখলদার শাসনের প্রতি আমেরিকান সমর্থন কমে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, 2024 সালের মার্চ মাসে পরিচালিত “গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমেরিকান নাগরিকদের গ্যালাপ সমীক্ষা” এর ফলাফলগুলি নির্দেশ করে যে সংঘাত শুরু হওয়ার প্রায় 6 মাস পরে, উত্তরদাতাদের 55% ইহুদিবাদী শাসকের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গাজায়। মাত্র 36% একমত। এদিকে, 2023 সালের নভেম্বরে (আজার মাস 1402), 50% পক্ষে ছিল এবং 45% গাজায় ইহুদিবাদী শাসকের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ছিল এবং এটি বিরোধীদের সংখ্যা 10% বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
চিত্র 1
অক্টোবর 12, 2023 এবং 18 জুন, 2024 এর মধ্যে ইকোনমিস্ট এবং YouGov দ্বারা পরিচালিত একটি যৌথ সমীক্ষা অনুসারে, অক্টোবর 2023 থেকে জুন 2024 পর্যন্ত অধিকৃত অঞ্চলগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল লোকের শতাংশ ক্রমাগতভাবে হ্রাস পেয়েছে৷ এই হ্রাস দেখায় যে এই সময়ের মধ্যে, ইহুদিবাদী শাসন ও দখলকৃত ভূখণ্ডের প্রতি সমর্থন কমেছে তাদের মধ্যে মানুষ বিপরীতে, ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল লোকের শতাংশ কিছুটা বেড়েছে।
যদিও এই বৃদ্ধি অধিকৃত অঞ্চলগুলির প্রতি সহানুভূতি হ্রাসের তুলনায় কম তাৎপর্যপূর্ণ, তবে এটি দেখায় যে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। ইতিমধ্যে, উভয় পক্ষের মতামত বা সহানুভূতি নেই এমন লোকের শতাংশের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এটি দেখায় যে জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও এই সংঘাত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে না।
চিত্র 2
উপরন্তু, প্রামাণিক সাইট 538-এর বিশ্লেষণে দেখা যায় যে গত বছর, 7 ই অক্টোবরের হামলার পর, অধিকৃত অঞ্চলগুলির জন্য জনগণের সহানুভূতি সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাইহোক, দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি দেখায়, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট এবং স্বাধীনদের মধ্যে।
সেই সময়ে, আমেরিকানদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাদের প্রায় অর্ধেক, বলেছিল যে তারা অধিকৃত অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ধারার পরিবর্তন হয়েছে। আজ, আমেরিকানরা কোন পক্ষের প্রতি সহানুভূতিশীল তা নিয়ে বিদীর্ণ।
মনোভাবের এই পরিবর্তনের একটি বড় অংশ হল আমেরিকানদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যারা বিশ্বাস করে যে এই সংঘাতে অধিকৃত জেরুজালেম সরকারের সামরিক পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত গুরুতর ছিল।
ইকোনমিস্ট এবং YouGov-এর যৌথ জরিপ, 7 অক্টোবরের অপারেশনের প্রায় এক সপ্তাহ পরে পরিচালিত, এটি নিশ্চিত করে। সমীক্ষা অনুসারে, 32 শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিশ্বাস করেছিলেন যে তেল আবিবের প্রতিক্রিয়া “সঠিক”, 22 শতাংশ বিশ্বাস করেছিল যে এটি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না এবং 18 শতাংশ বিশ্বাস করেছিল যে এটি খুব শক্তিশালী ছিল।
গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইহুদিবাদী শাসকের সামরিক পদক্ষেপের সমালোচনা তীব্র হয়েছে। 2024 সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে উল্লিখিত যৌথ জরিপ অনুসারে, 32 শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিশ্বাস করেন যে শাসনের প্রতিক্রিয়া খুব শক্তিশালী ছিল। যদিও 22% এটিকে উপযুক্ত হিসাবে মূল্যায়ন করেছে এবং 17% বিশ্বাস করে যে এই প্রতিক্রিয়াটি যথেষ্ট সিদ্ধান্তমূলক ছিল না।
চিত্র 3
ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে এ দেশের সামরিক সাহায্যের প্রতি আমেরিকান জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
উপরন্তু, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে মার্কিন সামরিক সাহায্যের প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গিও এই সংঘাতের সময় পরিবর্তিত হয়েছে। গত বছরের YouGov/The Economist পোলগুলি দেখিয়েছে যে আমেরিকানদের অংশ যারা মনে করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলদার শাসনে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি করা উচিত সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পেয়েছে; 2023 সালের নভেম্বরে 24% থেকে 2024 সালের সেপ্টেম্বরে 18% হয়েছে৷ একই সময়ের মধ্যে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও মানবিক সহায়তা পাঠানো উচিত বলে মনে করা লোকেদের অংশ 26 শতাংশ থেকে বেড়ে 32 শতাংশ হয়েছে৷
চিত্র 4
প্যালেস্টাইন ইস্যুতে তরুণ প্রজন্ম এবং প্রবীণ আমেরিকানদের মধ্যে প্রজন্মের ব্যবধান রয়েছে
সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আমেরিকার বিভিন্ন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের ফিলিস্তিন ইস্যুতে পুরোনো প্রজন্মের চেয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, জেনারেশন জেড (জন্ম 1997-2012) প্রায় 75 শতাংশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থক এবং ইহুদিবাদী শাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করে, এবং তারা ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝোঁক, এবং তারা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে ব্যাপকভাবে সক্রিয়।
সহস্রাব্দ, জেনারেশন Y বা সহস্রাব্দ প্রজন্ম (জন্ম 1981-1996) প্রায় 60% “2-রাষ্ট্র” সমাধানের পক্ষে এবং উভয় পক্ষের অধিকার এবং কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি মনোযোগের জন্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ সমর্থন দেখিয়েছে।
জেনারেশন এক্স (জন্ম 1965-1980) প্রায় 50% এখনও ইহুদিবাদী শাসনকে সমর্থন করে এবং এই সংঘাত সম্পর্কে তাদের আরও ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাদের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কম।
এই সময় বেবি বুমারস (জন্ম 1964-1946) তারা ইহুদিবাদী শাসনের জন্য সর্বাধিক সমর্থন দেখায় (প্রায় 65 শতাংশ), তাদের একটি ধ্রুপদী এবং ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ রয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে তাদের সর্বনিম্ন ইচ্ছা রয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে সাম্প্রতিক ভোটের সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রবণতা হল সবচেয়ে কমবয়সী এবং সবচেয়ে বয়স্ক আমেরিকানদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সম্পূর্ণ পার্থক্য। 10 থেকে 13 মে এর মধ্যে Yahoo News এবং YouGov দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা এই প্রজন্মের ব্যবধানকে ভালভাবে দেখায়।
এই সমীক্ষায়, তরুণ প্রজন্ম, অর্থাৎ 18-29 বছর বয়সী, অন্যান্য দলের (29%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি দেখায়। এছাড়াও, তাদের মধ্যে একটি ছোট শতাংশ ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে (13%)। এটা দেখায় যে তরুণ প্রজন্ম ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার জন্য বেশি ঝুঁকছে।
বয়স্ক প্রজন্ম (65 বছর বা তার বেশি) অন্যান্য গোষ্ঠীর (54%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি জায়নবাদী শাসনের প্রতি সহানুভূতিশীল। এছাড়াও, তাদের মধ্যে একটি ছোট শতাংশ ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে (9%)। এটি দেখায় যে পুরানো প্রজন্ম ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য বেশি ঝুঁকছে।
সমগ্র জনসংখ্যার মধ্যে, ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতি (33%) ফিলিস্তিনের (16%) প্রতি সহানুভূতির চেয়ে বেশি। যাইহোক, উল্লিখিত হিসাবে, এই বন্টন বয়স গ্রুপের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।
চিত্র 5
এছাড়াও, আমেরিকানরা এই সংঘাতে ওয়াশিংটনের কম ভূমিকা চায়। অনেক আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে তাদের দেশের এই সংঘাতে গুরুতর ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়। Yahoo! 2023 সালের অক্টোবরে পরিচালিত একটি নিউজ/YouGov জরিপে দেখা গেছে যে 40% মানুষ চায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে কম জড়িত থাকুক। সময়ের সাথে সাথে সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় এ প্রবণতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক ভোটে, তরুণ আমেরিকানরা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কম সক্রিয় ভূমিকা পছন্দ করে। 30 বছরের কম বয়সী 50 শতাংশেরও বেশি আমেরিকান বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে জড়ানো উচিত নয়, যেখানে 65 বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মাত্র 25 শতাংশ একমত।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জোরদার করা
অনেক আমেরিকান, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, গাজার যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখার পর ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি গভীর সহানুভূতি তৈরি করেছে। এই সহানুভূতি তাদের অনেককেই দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে সমর্থন করতে চায়। এছাড়াও, এই প্রজন্ম পূর্ববর্তী প্রজন্মের মতো আমেরিকা এবং ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেয় না এবং মানবিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের উপর বেশি জোর দেয়।
সাম্প্রতিক ঘটনা আমেরিকার জনগণের মধ্যে ইহুদিবাদী শাসনের নীতির সমালোচনা বাড়িয়েছে। অনেক আমেরিকান বিশ্বাস করে যে এই শাসন এই সংঘাতে একটি অসম ভূমিকা পালন করেছে এবং এর কর্মগুলি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আমেরিকায় ফিলিস্তিনের সমর্থনে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে সাহায্য করেছে। বিক্ষোভ, অনশন এবং মিডিয়া প্রচারণা সংগঠিত করে, এই আন্দোলনগুলি ফিলিস্তিন ইস্যুতে জনমতকে সংবেদনশীল করার চেষ্টা করে।
সাম্প্রতিক ঘটনা আমেরিকায় রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর করেছে। ডেমোক্র্যাটরা সাধারণত জায়নবাদী শাসনের নীতির বেশি সমালোচক হয়, যখন রিপাবলিকানরা এই শাসনের কট্টর সমর্থক।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের আরও সহানুভূতির কারণ
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আমেরিকার তরুণ প্রজন্ম আগের প্রজন্মের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশি সহানুভূতি দেখায়। বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় তথ্যের অ্যাক্সেস, সামাজিক আন্দোলনের প্রভাব, মূল্যবোধের পরিবর্তন, শিক্ষার প্রভাব এবং যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে ক্লান্তি সহ বিভিন্ন কারণে মনোভাবের এই পরিবর্তন ঘটেছে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে জনসাধারণের মনোভাবের বিবর্তনে সামাজিক আন্দোলনের প্রভাব
ফিলিস্তিন ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সামাজিক আন্দোলনগুলির ভূমিকা বিশিষ্ট, এবং এই আন্দোলনগুলি জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক সংহতি সৃষ্টি, প্রভাবশালী আখ্যানের সমালোচনা, ক্ষমতা সংস্থাগুলির উপর চাপ সৃষ্টি এবং সহ বিভিন্ন পদ্ধতির সাথে মনোভাবগত পরিবর্তনে কার্যকর হয়েছে। পাবলিক বক্তৃতা পরিবর্তন.
বার্তার শেষ
