2019 সালের নির্বাচনে জনগণের ট্রাস্টের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ডাঃ গবেঙ্গা ওলাওপো-হাশিম অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেসকে (এপিসি) দেশে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান মামলার পিছনে থাকার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছিলেন যে ২০১৪ সালে এপিসি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, সারা দেশে এই গণহত্যার সাক্ষী হওয়ার পিছনে কিছু উপাদান অবশ্যই ছিল।
পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রাক্তন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার ক্রমবর্ধমান সুরক্ষা সংকটকে ডিক্রি করে এক বিবৃতিতে অ্যালার্ম উত্থাপন করে, এই সতর্ক করে যে বিশ্ব সন্ত্রাস-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলির একটি বিপজ্জনক জোটকে দেশের মধ্যে একটি সমান্তরাল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয়ভাবে চক্রান্ত করছে।
তিনি বেনু রাজ্যের গুমা স্থানীয় সরকার অঞ্চল ইয়েলওয়াতায় 200 জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিকের সাম্প্রতিক গণহত্যার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যা তিনি উত্তর নাইজেরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর গভীরতর পরিশীলনের আরও প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
“গত সপ্তাহান্তে বেনুতে হত্যাকাণ্ড হ’ল উত্তর নাইজেরিয়ার সুরক্ষার সম্পূর্ণ ভাঙ্গনের একটি মর্মান্তিক অনুস্মারক,” তিনি বলেছিলেন।
“আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি তা বিচ্ছিন্ন সহিংসতা নয়, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি মারাত্মক জোটের সমন্বিত প্রচেষ্টা যার লক্ষ্য নাইজেরিয়ার মধ্যে একটি রাজ্য তৈরি করা।”
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশাবাদী সতর্ক করেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদের wave েউ আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে গেছে, এর পদচিহ্নগুলি উত্তর -পূর্বের traditional তিহ্যবাহী হটস্পটগুলির বাইরেও প্রসারিত হয়েছে।
“এই সন্ত্রাসের এই তরঙ্গটি বেনু বা উত্তর -পূর্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় তবে ক্রমবর্ধমানভাবে জামফারা, কেবি, কাদুনা এবং ক্যাটসিনা রাজ্যের বিভাগগুলি সহ উত্তর -পশ্চিমের বৃহত অংশগুলিকে জড়িয়ে ধরেছে, যেখানে সম্প্রদায়গুলি প্রাণহান, জীবিকা নির্বাহ এবং মর্যাদায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে,” তিনি বলেছিলেন।
ওলাওয়েপো-হাশিম গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে কুয়ারা, একিতি, ওএনডিও এবং কোগি রাজ্যে সাম্প্রতিক সন্ত্রাস-সম্পর্কিত ঘটনার কথা উল্লেখ করে এই বিদ্রোহটি উত্তর মধ্য ও এমনকি দক্ষিণের রাজ্যে বিপজ্জনক প্রবেশ পথ তৈরি করছে।
তিনি পুলিশিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী বিকেন্দ্রীকরণ সহ গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সংস্কার গ্রহণে ফেডারেল সরকারের ক্রমাগত বিলম্বের নিন্দা জানিয়েছিলেন, যা তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে তৃণমূলের প্রতিরক্ষা এবং সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করবে।
“রাষ্ট্র এবং স্থানীয় পুলিশিং বাস্তবায়নের অবিরাম অস্বীকৃতি হ’ল স্থূল অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত জটিলতার পরামর্শ দেয়,” তিনি দৃ serted ়ভাবে বলেছিলেন। “আমরা এই ভান করে চলতে পারি না যে আবুজা একাই নাইজেরিয়ার মতো বৃহত্তর এবং জটিল একটি দেশকে সুরক্ষিত করতে পারে।”
ওলাওয়েপো-হাশিম জাতীয় সুরক্ষার সমাধানে ক্ষমতাসীন এপিসির আন্তরিকতার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যর্থতার সাথে এর রাজনৈতিক সাফল্যের বিপরীতে।
“২০১৪ সাল থেকে, এপিসি নির্বাচন জয়ের কৌশলটি খুঁজে পেয়েছে, তবে তারা নিরাপত্তাহীনতা এবং দারিদ্র্যের অবসান করার কৌশলটি খুঁজে পায়নি বা খুঁজে পায়নি,” তিনি উল্লেখ করে বলেছিলেন।
“একজন ভাবতে শুরু করে: ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে এমন কি এমন উপাদান রয়েছে যা গোপনে এই সন্ত্রাসের বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়?”
নাইজেরিয়ার হ্রাসিত আঞ্চলিক মর্যাদাকে বিলাপ করে ওলাওয়েপো-হাশিম দেশটিকে একটি মহাদেশীয় স্ট্যাবিলাইজার এবং সামরিক শক্তি হিসাবে তার এককালের জন্য বর্বর উত্তরাধিকারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, “নাইজেরিয়া এমন দুর্বল অবস্থা নয় কারণ তার বর্তমান শাসকরা এটিকে চেহারা দেখিয়ে দিচ্ছেন,” তিনি বলেছিলেন।
“আমরা একসময় আফ্রিকার সামরিক কূটনীতির গর্ব ছিলাম – লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে গৃহযুদ্ধ বন্ধ করে কঙ্গো এবং সুদানে শান্তিতে অবদান রেখেছি। আজ, আমরা আমাদের নিজস্ব সীমানার মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছি।”
জাতিগত, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিভাজন জুড়ে নাইজেরিয়ানদের কাছে আবেদন করে ওলাওয়েপো-হাশিম হিংস্র চরমপন্থার দ্বারা উত্থিত অস্তিত্বের হুমকির মুখোমুখি হওয়ার জন্য জরুরি জাতীয় unity ক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
“এটি আমাদের দেশের জন্য একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত। আমাদের এখনই কাজ করতে হবে বা প্রজাতন্ত্রকে হিংসাত্মক, চরমপন্থী বিকল্পের কাছে হারাতে হবে,” তিনি সতর্ক করেছিলেন।
