বিদ্যুৎ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ লম্বা লম্বা কথা বললেও এখন কেন বিদ্যুৎ থাকে না—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এত দিন কত লম্বা লম্বা কথা বলেছেন। আমরা বিদ্যুতে শতভাগ হয়ে গেছি। ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে দিয়েছি। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ হচ্ছে। ২৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করছি আমরা। প্রয়োজন ১৫ হাজার, ১০ হাজার থাকে। তাহলে এখন কেন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে?’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এ সভা চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি খুব কষ্ট করে বলছেন, পয়সাই নাই, বিদ্যুৎ দেব কোত্থেকে!’ এ কথা শুনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন।
ফখরুল বলেন, ‘পয়সার তো অভাব নাই। আপনাদের মিলিয়ন মিলিয়ন রিজার্ভ আছে। এসব গেল কোথায়? ব্যবসায়ীদের একটা অনুষ্ঠানে উনি (তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী) এখন দুঃখ করে বলছেন, আমি বিদ্যুৎ দিনে দিতে পারব না, রাতে দিতে পারব। এ–ই হচ্ছে তাদের উন্নয়ন। এ–ই হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই বাংলাদেশকে বিশ্বের মানুষ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে!’
ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বলতে হয়, ফিরিয়ে দাও সেই বাংলাদেশকে। কথা তো এটা ছিল না। কথা ছিল সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নতুন স্বপ্ন দেখব। আজকে আওয়ামী লীগ সে স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে। তারা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।’
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পেতে বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এক সাংবাদিক গত রাতে প্রশ্ন করেছেন, ক্ষমতায় গেলে প্রথমে কী করবেন?’ এর উত্তরে ফখরুল বলেন, ‘একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে কীভাবে টেনে ওপরে তুলতে হয়, তা জিয়াউর রহমান দেখিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় গেলে সেই কাজগুলোই করব। নিশ্চয়ই আমরা সুশাসন ও সততার মধ্য দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাব।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম।